স্বদেশ ডেস্ক:
আগামীকাল বুধবার ভারত থেকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে বাংলাদেশে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এই ভ্যাকসিনের চালান অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন বলে তিনি জানান। কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।
অধ্যাপক আলম বলেন, এই উপহার কীভাবে ব্যবহার করা হবে ওই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ উপহারের ব্যাপারে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি সময় সম্পর্কে ধারণা দেননি।
কবে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি?
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সরকার জানিয়েছে, বেক্সিমকোর মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে তার প্রথম চালান ২৫ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
টিকা আসার পর দুই দিন তা বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে। টঙ্গিতে বেক্সিমকোর দুটি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
প্রথমে যে ৫০ লক্ষ টিকা আসবে তার পুরোটাই দিয়ে দেয়া হবে। আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় চালান এলে সেই ৫০ লক্ষও পুরো দিয়ে দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে টিকা প্রদান। এজন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন ‘ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। আগে ২৫ লাখের কথা বলা হলেও এখন ৫০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেয়া হবে।’
টিকা প্রদানের বিভিন্ন ধাপ:
নিবন্ধন: জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি নিবন্ধন
ভ্যাকসিন কার্ড: ওয়েব পোর্টাল হতে ভ্যাকসিন কার্ড সংগ্রহ
এসএমএস বার্তা প্রেরণ: ভ্যাকসিন প্রদানের তারিখ ও তথ্য প্রেরণ
প্রথম ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রদান
দ্বিতীয় ডোজ: নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রদান
ভ্যাকসিন সনদ: দুইটি ডোজ নেয়ার পর পোর্টাল হতে সংগ্রহ